Skip to main content

Posts

রমাযানের শেষ দশক এবং হাজার মাসের চেয়েও সেরা একটি রাত  ▬▬▬▬◆◈◆ ▬▬▬▬ আসসালামু আলাইকুম ওয়া রাহমাতুল্লাহ। সুপ্রিয় ভাই ও বোন, দেখতে দেখতে মাহে রমাযান আমাদের মাঝ থেকে বিদায় নেয়ার প্রস্তুতি শুরু করেছে। আমরা এসে পৌঁছেছি শেষ দশকে। সৌভাগ্যবান লোকেরা এ মাসে আঁচল ভরে পাথেয় সংগ্রহ করছে আর হতভাগারা এখনো অন্ধকারের অলি-গলিতে উদভ্রান্তের মত ঘুরে বেড়াচ্ছে। কিন্তু কল্যাণের বারি বর্ষণ এখনো শেষ হয়ে যায় নি। বন্ধ হয়ে যায় নি তাওবার দরজা বরং আরও বেশি সুযোগ নিয়ে মাহে রমাযানের শেষ দশক আমাদের মাঝে সমাগত। আজকের এই পোস্টে দেখব আল্লাহ তায়ালা আমাদের জন্য এতে কী উপহার সাজিয়ে রেখেছেন এবং আমরা কীভাবে তা সংগ্রহ করতে পারব। প্রিয় পাঠক, আসুন, আমরা আল্লাহ দেয়া উপহারগুলো দুহাত ভরে কুড়িয়ে রমাযানকে আরও অর্থ বহ করে তুলি। আল্লাহ আমাদের তাওফিক দান করুন। আমীন। 🌀 ১) রমাযানের শেষ দশকে নবী সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়া সাল্লাম স্ত্রী-পরিবার সহ সারা রাত জেগে ইবাদত করতেন: উম্মুল মুমিনীন আয়েশা (রা:) হতে বর্ণিত। তিনি বলেন: إِذَا دَخَلَ الْعَشْرُ شَدَّ مِئْزَرَهُ ، وَأَحْيَا لَيْلَهُ ، وَأَيْقَظَ أَهْلَهُ “রমাযানের শেষ দশক প্রবেশ
Recent posts
বিয়ের উদ্দেশ্যে প্রেম করা কি জায়েজ..?? দেখুন ইসলাম কি বলে [রেফারেন্স সহ]→↓↓ . উত্তরঃ বিয়ের আগে ভিন্ন পুরুষের সাথে প্রেম ভালোবাসা হারাম। . রাসুল (সাঃ) বলেছেন, "যেখানে দু'জন বেগানা নারী-পুরুষ নির্জনে একত্রিত হয়, সেখানে তৃতীয়জন হয় শয়তান।"– [সহীহ্ তিরমিযী, ১১৭১] . এখানে নির্জনে নারী-পুরুষ কে একত্রিত হতে স্পষ্টত নিষেধ করা হয়েছে। . এখন ধরুন, আপনি বা আমি যদি কারো সাথে মোবাইলে কথা বলি, সেটাও নির্জনে একত্রিত হওয়া নয় কি? কারন, আমরা মোবাইলে কথা বলার সময় নির্জনেই কথা বলি। নির্জনে SMS আদান-প্রদান করি। এবং তখন দুজনের মধ্যে কোনোরুপ বাঁধা থাকে না। . একসময় কথাবার্তা কতটা অশালীন মূহুর্তে পৌছায়)। যার দ্বারা মুখের ও অন্তরের যিনা হয়। যা স্পষ্ট হারাম। . আল্লাহ বলেন, "তোমরা অশ্লীলতার ধারে কাছেও যেও না"–[আল ইসার ১৭:৩২] এ বিষয়ে আরো দ্রষ্টব্য→ [সহিহ্ বুখারী: ৬৩৪৩ ও সহিহ্ মুসলিম:২৬৫৭] . অশ্লীলতা তো দূরের কথা, এক্ষেত্রে বিনা প্রয়োজনে শালীন ভাবে কথাবার্তা বলারও বৈধতা নেই মুহাররাম নারী-পুরুষের মধ্যে। না প্রেম হিসেবে, না বন্ধুত্ব আর না দোস্ত-দোস্ত বলে ডাক
ইসলাম কি? মানুষ, পশুপাখি, মাছ, গাছপালা, প্রকৃতি, পৃথিবী, চাঁদ, গ্রহ, উপগ্রহ, সৌরজগৎ, নীহারিকা নিয়ে এক মহাআশ্চর্য্য এই বিশ্বভ্রম্মান্ডে যা কিছু আছে, সবকিছু একজন সৃষ্টি করেছেন। সেই সৃষ্টিকর্তা সর্বশক্তিমান ও একজন। তিনি মানুষও নন, বা তাঁর কোন সৃষ্টির মতও নন। তাঁকে কেউ সৃষ্টিও করেনি, তার সন্তানাদিও নেই। তাঁর সমকক্ষ বা তাঁর মত কিছুই নেই। ইসলাম হল তাঁর পাঠানো একটি জীবনযাপন পদ্ধতি যেখানে তাঁকে এক প্রভূ, ঈশ্বর, পালনকর্তা, পরমকরুনাময়, অসীম দয়ালু বলে স্বীকার করে নেয়া হয়। খ্রীষ্ট, বা ইহুদি ধর্মেও সেই একই খোদাকে প্রভু বলে মেনে নেয়া হয়। সেই প্রভুকে আরবিতে ডাকা হয় আল্লাহ নামে। এমনকি ইসলাম, খ্রীষ্ট, ইহুদি ধর্ম তিনটিই একই আল্লাহর পাঠানো। আপনার মনে প্রশ্ন জাগতে পারে কেন এক ঈশ্বর এতগুলো ধর্ম দুনিয়াতে পাঠালেন? সেকথায় আসছি একটু পর। 'ইসলাম' শব্দের বুৎপত্তি ইসলামে আরবি ভাষার একচ্ছত্র প্রাধান্য দেখা যায়। কেন - সেকথায়ও একটু পর আসছি। ইসলাম একটি আরবি শব্দ। এটি এসেছে আরেক আরবি শব্দ 'সালাম' থেকে। সালাম মানে হল শান্তি। ইসলাম মানে হল, প্রভুর কাছে নিজের কামনা, বাসনা, বিবেক, বু